Firmware কি ???
কিছুদিন আগে আমার এক ছোট ভাই প্রশ্ন করলো যে ফার্মওয়্যার কি ? সে এতদিন জানতো যে কম্পিউটার বিষয়ে মাত্র দুটি জিনিস থাকে ।
আর সফটওয়্যার বলতে বোঝায় আমরা যে সকল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকি। যেমন ধরুন মাইক্রোসফট অফিস, এডোবি ফটোশপ ইত্যাদি।
আমরা যখন কম্পিউটার করতে বসি। তখন দেখা যায় যে মনিটরের নিচের দিকে কয়েকটি বাটন আছে। যা দ্বারা আমরা আমাদের মনিটরের ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করতে পারি। আমাদের মনিটরে যখন ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করা যায়, তখন নিশ্চই এটি কোন সফটওয়্যার করে থাকে। হ্যাঁ, আমাদের মনিটরে এমন কিছু সফটওয়্যার থাকে যা আমাদের মনিটরের ব্রাইটনেস কন্ট্রোলে ও বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে থাকে।
এইসব সফটওয়্যারকে বলা হয় ফার্মওয়্যার। ফার্মওয়্যার মূলত কোম্পানী থেকে কোনো হার্ডওয়্যারের ননভোলাটাইল মেমোরিতে দিয়ে দেওয়া হয় । ননভোলাটাইল মেমোরি হল সেই সকল মেমোরি যা অপরিবর্তিত থাকে। যেমন আমাদের মোবাইলের মেমোরি কার্ড, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। ভোলাটাইল মেমোরি হল র্যাম বা র্যান্ডম আক্সেস মেমরি যা পাওয়ার কাট হওয়ার সাথে সাথে সম্পূর্ণ মেমরির সকল ডাটা ডিলিট করে ফেলে।
যাইহোক, ননভোলাটাইল মেমোরির এসব সফটওয়্যার আমাদের হার্ডওয়্যার পরিচালনায় সহযোগীতা করে থাকে। কিন্তু যখন নরমাল সফটওয়্যার এই সব সফটওয়্যারকে রিড করে তখন নরমাল সফটওয়্যারের কাছে এগুলো হার্ডওয়্যার হিসাবেই গণ্য হয়ে থাকে । হার্ডওয়্যার একে চিনছে সফটওয়্যার হিসাবে আর সফটওয়্যার চিনছে হার্ডওয়্যার হিসাবে, তাই এটি ফার্মওয়্যার । মূলত প্রায় হার্ডওয়্যারেই ফার্মওয়্যার থাকে। এমনকি আপনাদের ব্যবহৃত টিভি, এমনকি টিভির রিমোটেও আছে এই ফার্মওয়্যার।
ফার্মওয়্যার হ্যাক করার মাধ্যমে অনেককিছু কন্ট্রোল করা যায়, যেমন কিছু মাস আগে আমেরিকায় অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা হ্যাক করা হয়েছিল। ক্যামেরা কিন্তু হ্যাক হয় নি। হ্যাক হয়েছিল ক্যামেরা গুলোর মধ্যে থাকা ফার্মওয়্যার। ধুম ছবির মধ্যে যে ট্রাফিক লাইট হ্যাক করা দেখানো হয় তাও করতে হলে ফার্মোওয়্যারকেই হ্যাক করতে হবে। যাই হোক আজকে হ্যাকিং বিষয়ে কথা বলবো না।
ফার্মওয়্যার ২০১৩ সালের পর থেকে আপডেট করার সুবিধা প্রদান করে নির্মাতা কোম্পানীগুলো। এর আগের যে সকল ফার্মওয়্যার ছিল তা আপডেট করার সু্যোগ ছিল না। তাই বর্তমান ফার্মওয়্যারগুলো আগের ফার্মওয়্যার থেকে সিকুরিটির দিক দিয়ে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত করে আমাদের ।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ।
- হার্ডওয়্যার
- সফটওয়্যার
আর সফটওয়্যার বলতে বোঝায় আমরা যে সকল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকি। যেমন ধরুন মাইক্রোসফট অফিস, এডোবি ফটোশপ ইত্যাদি।
firmware |
আমরা যখন কম্পিউটার করতে বসি। তখন দেখা যায় যে মনিটরের নিচের দিকে কয়েকটি বাটন আছে। যা দ্বারা আমরা আমাদের মনিটরের ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করতে পারি। আমাদের মনিটরে যখন ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করা যায়, তখন নিশ্চই এটি কোন সফটওয়্যার করে থাকে। হ্যাঁ, আমাদের মনিটরে এমন কিছু সফটওয়্যার থাকে যা আমাদের মনিটরের ব্রাইটনেস কন্ট্রোলে ও বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে থাকে।
এইসব সফটওয়্যারকে বলা হয় ফার্মওয়্যার। ফার্মওয়্যার মূলত কোম্পানী থেকে কোনো হার্ডওয়্যারের ননভোলাটাইল মেমোরিতে দিয়ে দেওয়া হয় । ননভোলাটাইল মেমোরি হল সেই সকল মেমোরি যা অপরিবর্তিত থাকে। যেমন আমাদের মোবাইলের মেমোরি কার্ড, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। ভোলাটাইল মেমোরি হল র্যাম বা র্যান্ডম আক্সেস মেমরি যা পাওয়ার কাট হওয়ার সাথে সাথে সম্পূর্ণ মেমরির সকল ডাটা ডিলিট করে ফেলে।
যাইহোক, ননভোলাটাইল মেমোরির এসব সফটওয়্যার আমাদের হার্ডওয়্যার পরিচালনায় সহযোগীতা করে থাকে। কিন্তু যখন নরমাল সফটওয়্যার এই সব সফটওয়্যারকে রিড করে তখন নরমাল সফটওয়্যারের কাছে এগুলো হার্ডওয়্যার হিসাবেই গণ্য হয়ে থাকে । হার্ডওয়্যার একে চিনছে সফটওয়্যার হিসাবে আর সফটওয়্যার চিনছে হার্ডওয়্যার হিসাবে, তাই এটি ফার্মওয়্যার । মূলত প্রায় হার্ডওয়্যারেই ফার্মওয়্যার থাকে। এমনকি আপনাদের ব্যবহৃত টিভি, এমনকি টিভির রিমোটেও আছে এই ফার্মওয়্যার।
firmware |
ফার্মওয়্যার হ্যাক করার মাধ্যমে অনেককিছু কন্ট্রোল করা যায়, যেমন কিছু মাস আগে আমেরিকায় অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা হ্যাক করা হয়েছিল। ক্যামেরা কিন্তু হ্যাক হয় নি। হ্যাক হয়েছিল ক্যামেরা গুলোর মধ্যে থাকা ফার্মওয়্যার। ধুম ছবির মধ্যে যে ট্রাফিক লাইট হ্যাক করা দেখানো হয় তাও করতে হলে ফার্মোওয়্যারকেই হ্যাক করতে হবে। যাই হোক আজকে হ্যাকিং বিষয়ে কথা বলবো না।
ফার্মওয়্যার ২০১৩ সালের পর থেকে আপডেট করার সুবিধা প্রদান করে নির্মাতা কোম্পানীগুলো। এর আগের যে সকল ফার্মওয়্যার ছিল তা আপডেট করার সু্যোগ ছিল না। তাই বর্তমান ফার্মওয়্যারগুলো আগের ফার্মওয়্যার থেকে সিকুরিটির দিক দিয়ে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত করে আমাদের ।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ।
11111111
ReplyDelete